প্রচারণায় সরগরম ঢাকা, চট্টগ্রাম
নূর মোহাম্মদ
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রার্থী ও ভোটারদের প্রচারণায় ততই জমে উঠছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনী এলাকা।
নির্বাচন কমিশনের বিধি মোতাবেক গত মঙ্গলবার থেকেই প্রচারণা শুরু হলেও শুক্রবার প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ প্রচারণায় যুক্ত করেছে নতুন মাত্রা। ইতোমধ্যে অনেক প্রার্থী নিজ নিজ প্রাপ্ত প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে প্রচার চালাতে শুরু করেছেন। কেউ কেউ প্রতীক সম্বলিত লিফলেট ছাপিয়ে বিলি শুরু করেছেন।
এর আগে ঢাকা ও চট্টগ্রামে একেক প্রার্থী তাদের পছন্দের স্থান থেকে প্রচারণা শুরু করেন। প্রচারণার শুরুর দিন ঢাকা দক্ষিণের প্রার্থী হিসেবে সাইদ খোকন মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার, বিএনপির প্রার্থী মির্জা আব্বাসের পক্ষে তার স্ত্রী নিজ এলাকা, জাপার হাজী সাইফুদ্দিন মিলন নিজ বাসভবন, উত্তরের আনিসুল হক বাণিজ্যিক এলাকা কাওরান বাজার থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। আজ থেকে প্রচারণা শুরু করেছেন উত্তরে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তাবিথ আওয়াল।
মেয়র প্রার্থীরা নিজ নিজ শহরকে আধুনিক, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন, বাসযোগ্য, আলোকময়, যানজটমুক্ত, জলাবদ্ধতামুক্ত করে পরিকল্পিত মেগাসিটিতে রুপান্তর করবেন ভোটারদের এমন আশ্বাস দিচ্ছেন।
সিটি নির্বাচন মূলত নিরপেক্ষ হলেও নিজের সমর্থিত ও পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, বিকল্পধারা সহ অন্যান্য দল ইতোমধ্যেই নানা নামে নির্বাচন মনিটরিং কমিটি গঠন করেছে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আধুনিক ঢাকা গড়তে আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ঢাকা উত্তরে আনিসুল হক ও দক্ষিণে সাঈদ খোকনকে সমর্থন দিয়েছে ‘ঢাকা নাগরিক সমাজ’। তারা একটি কমিটিও গঠন করেছে। অপরদিকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে নির্বাচন পরিচালনায় ‘আদর্শ ঢাকা আন্দোলন’-এর নীতি নির্ধারণী পরিষদ একটি কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করেছে।
এদিকে ঢাকার পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচারণায় থেমে নেই চট্টগ্রামের প্রার্থীরাও। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি সমর্থিত মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা যোগ দিয়েছেন নির্বাচনী প্রচারণায়। ভোট চাইছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। দিচ্ছেন নানারকমের প্রতিশ্রুতি।
চট্টগ্রামনগরীকে বিশ্বমানের মেগাসিটি বানানোর প্রতিশ্রুতি নিয়ে গণসংযোগে নেমেছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত নাগরিক কমিটির মেয়র প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিন ও সদ্য বিদায়ী বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মঞ্জুর আলম । ভোটারদের কাছে গিয়ে নিজের জন্য দোয়া আর ভালবাসা কামনা করছেন হেভিওয়েট এ দুই মেয়র প্রার্থী।
সিটি নির্বাচনে প্রচারণার ক্ষেত্রে আচরণ বিধি ভঙ্গ করার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কঠোর অবস্থান থাকলেও সরেজমিনে দেখা গেছে ঢাকা ও চট্টগ্রামের অলিগলিতে শোভা পাচ্ছে রঙ্গিন পোস্টার। কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রার্থীদের শোকজ করলেও পার পেয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা । এছাড়াও সুযোগ বুঝে ছোট-খাট সভা সমাবেশ ও সেরে নিচ্ছে অনেকে।
সিটি নির্বাচনে প্রচারণার ক্ষেত্রে বিএনপির প্রার্থীদের চেয়ে এগিয়ে আছে সরকারি দল আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। এর কারণ হিসাবে জানা গেছে, একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রতিযোগিতা, মামলার আসামী হওয়া ইত্যাদি।
বৃহস্পতিবার প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার ও শুক্রবার প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচারণা আরো জমে উঠেছে।
উল্লেখ্য আগামী ২৮ এপ্রিল ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিক্ষণ/এডি/ তপু